পা হারানো রাসেলের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রায় বৃহস্পতিবার

দুই বছর আগে রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক পা হারানো রাসেল সরকারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নে জারি করা রুলের রায় বৃহস্পতিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 09:24 AM
Updated : 29 Sept 2020, 09:24 AM

রায় ঘোষণার জন্য এ মামলা মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচাপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু আদালত বৃহস্পতিবার তা রায়ের জন্য রাখে।   

এর আগে গত ৫ মার্চ রুলের ওপর শুনানি শেষ হলে ১৫ এপ্রিল রায়ের জন্য রেখে আদেশ দিয়েছিল আদালত।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ছুটির মধ্যে আদালত বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। পরে বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তনও হয়। ফলে নির্ধারিত তারিখে আর রায় হয়নি।

প্রধান বিচারপতি পরে এই মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তির জন্য আবার এই দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করে দেন। তারই ধারাবাহিকতায় রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার বিষয়টি কার্যতালিকায় আসে।

এ মামলায় গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল গ্রিন লাইন পরিবহনের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের মো. শফিকুল আসলামের ছেলে রাসেল সরকার।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পর্যায়ে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। তার আরেক পায়ের অবস্থাও ভালো নয়।

এ অবস্থায় রাসেলের পক্ষ হয়ে তাকে আইনগত সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

রাসেল সরকারের জন্য কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন এই আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করে। পরে গত বছর ১২ মার্চ আদালত ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।

পরে ওই বছরের ১০ এপ্রিল আরেক আদেশে হাই কোর্ট প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেয় গ্রিন লাইনকে।

ওই নির্দেশের পর গত বছর জুলাই পর্যন্ত তিন দফায় মোট সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। পরে আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে দেয়। এরপর আর কোনো টাকা দেয়নি গ্রিনলাইন পরিবহন।

এ অবস্থায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার সেই রায় জানা যাবে।

আরও খবর: