ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে হাই কোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
গ্রিনলাইনের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক পরে সাংবাদিকদের বলেন, রাসেলকে এ পর্যন্ত দুই কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
“ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাকি ৪০ লাখ টাকার আট কিস্তি স্থগিত করা হয়েছে।”
গাইবান্ধার পলাশবাড়ির ছেলে রাসেল রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে থেকে একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন।
গত বছর ২৮ এপ্রিল ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় রাসেলের বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গ্রিনলাইনের বাস এবং তার চালককে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ সে সময় বলেছিল, গ্রিন লাইনের বাস প্রাইভেটকারে ধাক্কা দিলে প্রতিবাদ জানাতে বাসটি থামাতে চেয়েছিলেন রাসেল। কিন্তু বাসটি তার উপর দিয়েই চালিয়ে দেন চালক। এতে রাসেলের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির করা রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৪ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।
রাসেল সরকারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
পরবর্তীতে আরেক আদেশে গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ গত ১০ এপ্রিল ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পর হাই কোর্ট গত ২৫ জুন হাই কোর্ট বাকি ৪৫ লাখ টাকা নয়টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে বলে।
প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করে ১৫ তারিখে এর বাস্তবায়ন প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) হাই কোর্টে জমা দিতে বলা হয়।
কিন্তু গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে গত ২৯ জুলাই। এ অবস্থায় হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে তারা। সে আবেদনের নিষ্পত্তি করে বাকি আটটি কিস্তি স্থগিত করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
যদিও এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে ৫০ লাখ টাকা পরিশোধের হাই কোর্টের আদেশটিই বহাল রেখেছিল আপিল বিভাগ।