অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক ‘সত্যতা পেয়ে’ সম্পদ বিবরণি দাখিল করতে তাদের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
সরকারি ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীসহ মোট ২০ জনের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
প্রনব ভট্টাচার্য্য সোমবার বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর বলেন, সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে তাদের গত সপ্তাহ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে পাঠানো পৃথক নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দুদক প্রধান কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
যাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে এরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই শাখার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুল হক মুন্সি, তার স্ত্রী রিফাত আক্তার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার।
র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী নার্গিস বেগম, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, তার স্ত্রী বিলকিচ রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. ইমদাদুল হক, তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান, তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বিভাগের অফিস সহকারী কামরুল হাসান, তার স্ত্রী ডা. উম্মে হাবিবাকেও নোটিস পাঠিয়েছে দুদক।
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের ‘স্থির বিশ্বাস’ জন্মেছে, তারা স্বনামে বা বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।