বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মমিনুল ইসলাম।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা সাবরিনার বিরুদ্ধে গত ৩১ অগাস্ট গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। তার দু’টি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।
ডা. সাবরিনার জাতীয় পরিচয়পত্র আপাতত অকার্যকর করেছে নির্বাচন কমিশন।
২০১৫ সাল থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির মামলায় তারা দুজনেই কারাগারে আছেন। ওই মামলায় তাদের বিচারও শুরু হয়েছে।