কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনা আরিফ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও ফেঁসে যাচ্ছেন।
Published : 26 Aug 2020, 06:51 PM
তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ভিন্ন নম্বরের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম একই থাকলেও জন্মতারিখ, স্বামী, ঠিকানা ভিন্ন।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি তারা পেয়েছেন। এখন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেবে।
“দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয় এবং এর সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, মিথ্য তথ্য দিয়ে ভোটার হলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সরকারি নথিপত্রে নাম সাবরিনা শারমিন হুসাইন থাকলেও এই চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ নামে নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। কর্মস্থলে তার কক্ষে নামফলকেও লেখা ছিল- ডা. সাবরীনা আরিফ।
ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন।
তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর গত ২৩ জুন আরিফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এরপর গত ১২ জুলাই সাবরিনাকেও গ্রেপ্তার করার পর তিনি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়েছে।
সাবরিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেকেজির দুর্নীতে তার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে দেখতে দুদক তদন্তে নেমে সাবরিনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পায়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সাবরিনার ভিন্ন নম্বরের দুটি এনআইডি রয়েছে এবং দুটোই সচল। তাতে স্বামীর নাম দুটিতে ভিন্ন, জন্মতারিখও পরবর্তন করা হয়েছে; সঙ্গে ঠিকানাও।
গ্রেপ্তারের সময় সাবরিনার যে মোবাইল ফোন পুলিশ পেয়েছিল, তার সিমও অন্য একজনের নামে নিবন্ধিত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
সাবরিনার দাবি করেছিলেন, ওই সিম কার নামে নিবন্ধিত তা তিনি জানতেন না। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, এটা বড় ধরনের অপরাধ, কারণ ওই সিম ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করেও তিনি সহজেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত করে ইতোমধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদের এনআইডি ‘ব্লক’ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও খবর