মহামারীর মধ্যে সহিংসতার শিকার ৭৮৮ নারী-শিশু: মহিলা পরিষদ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত চার মাসে (মার্চ-জুন) দেশে ৭৮৮ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2020, 02:25 PM
Updated : 15 July 2020, 02:25 PM

এই চার মাসে ১৩টি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বুধবার ‘কোভিড-১৯ ক্রান্তিকালে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যে মার্চ থেকে জুন মাসে মোট ৪৫৭ জন নারী ও ৩৩১ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৭ জন।

এছাড়াও বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১৮টি, তার মধ্যে ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫১ জন ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৫ জনকে।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে ১৬১ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৩ জনকে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মার্চ মাসে ২৪৩ জন, এপ্রিলে ১২২ জন, মে মাসে ১১৫ জন ও জুন মাসে ৩০৮ জন

নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালকা বানু নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিয়ে প্রতিরাধে প্রশাসনের ভূমিকা জোরদার করা, হটলাইনগুলোর কার্যক্রম আরও জোরদার করা, উপবৃত্তির আওতা বৃদ্ধিসহ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম মেয়েদের নাগালে আনা, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মলন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নারী ও কন্যার জীবন অনেকক্ষেত্রে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বর্তমান সংকটে পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীর কাজের সাথে সাথে অন্য কাজের বোঝাও বৃদ্ধি পেয়েছ। এ অবস্থায় নারীর প্রতি সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করে দূর করতে হলে আলাদাভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।

নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সময় পর্যন্ত আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি।

সংবাদ সম্মলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদশ মহিলা পরিষদর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানা কবির, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম।