মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজত চাওয়া হলে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী দুদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- গোলাম রাব্বানী (৩৮) ও তার স্ত্রী হাসিনা (৩৫)। তাদের বাসা উত্তরখানের তালতলা বালুর মাঠ এলাকায়।
উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই জনই অবৈধ গভর্পাতের মামলায় জামিনে থাকা আসামি। এবার তারা নিজেদের বাড়িতে ‘ঘরোয়া পদ্ধতিতে’ গর্ভপাত ঘটাতে গেলে অতিরিক্ত রক্তরক্ষণে এক নারীর মৃত্যু হয়। এরপর তারা নিহতের লাশ গুম করে।
তিনি বলেন, এঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ২০১ ধারায় আলামত গোপন এবং ৩৪ ধারায় অপরাধ সংঘটনের সাধারণ অভিপ্রায় থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ভ্রুণ হত্যাকারী চক্রের সদস্য। চিকিৎসা পেশার কোনো সনদ তাদের নেই। তাদের সহযোগীদের নাম-ঠিকানাসহ আরও তথ্য উদ্ঘাটনে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই উত্তরখানের আমাইয়া এলাকা থেকে মালা রানী নামের এক নারী নিখোঁজ হন। ওই দিনই একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তার স্বামী হরি গোপাল দাসকে কল দিয়ে জানানো হয়, মালা রানী যেখানেই আছেন, ভালো আছে; রাতে তিনি সেখানেই থাকবেন। পরে ওই নম্বরে বার বার কল করে কখনো জবাব না পেয়ে, কখনো বন্ধ ফেয়ে ৫ জুলাই হরি গোপাল উত্তরখান থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
ওই মোবাইল নম্বরের গ্রাহক হিসেবে গোলাম রাব্বানীর নাম বের করার পর পুলিশ তার বাসায় গেলেও তাকে পায়নি। পরে সোমবার সকালে পল্লবীর একটি বাসা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা মালা রানীকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার সময় তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। ৪ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়। পরে তারা লাশ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেন।
পরে দুপুরে ওই ডোবা থেকে মালা রানীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।