বৃহস্পতিবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই বাংলাদেশি হলেন- মো. ইমরান হোসেন (৩২) এবং হারুন উর রশিদ (৩৫)।
আর ১৬ নাইরেজীয় হলেন - সিমিজি ওয়েমা, আজিনা চুকুওয়াকু, সিমুবি এটাস গাবিরিয়েল, কেনুসুবু স্ট্যানলি এমবা, ওয়াকি সেলেসটাইন আবুচি, ওজুজুবু স্যামুয়েল ইকিনি, ওফুচুবু টসিবু ওহিন্নারা,ওবুকা সানডে ইমমানুয়েল,এনডুম্মাডু চিনিডা,ইনুগবালাইক অ্যান্থনি ওকাবিডিরি, চিবুফি ইজুনি ওভিনওয়ানি, উজুচুকুবা ডার্লিংটন চিকিলু, কেনিচুকুবা চালর্স অনবাওচু, ওজোরমাগবো হেনরি ইজিকি, চিবুজুর এনওনেটি ভিক্টর এবং এনোরুকা জিনিকা ফ্রান্সিস।
তাদের কাছে থাকা ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা, ২৯ হাজার নাইজেরীয় মুদ্রা, ২৩টি মোবাইল ফোন, ১৫টি পাসপোর্ট ছাড়াও বেশকিছু পোশাক জব্দ করা হয়।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার পর অভিযোগ করলে তার ভিত্তিতে তদন্ত করে এই চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়।
ওই ব্যক্তি ফেইসবুকে অপরিচিত একজনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে এই চক্রের সদস্যরা মেসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। এক পর্যায়ে ‘বিদেশি বন্ধু’ কিছু উপহার পাঠাবে বলে জানায়।
এরপর উপহার হিসেবে তাকে একটি আইফোন, আইপ্যাড ও কিছু ডলার পাঠানোর কথা জানানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর এক ব্যক্তি কাস্টমস কর্তকর্তা পরিচয়ে তাকে ফোন করে বলেন, উপহারের ওই বাক্স দেশের নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস ডিউটি না দিয়েই আনা হয়েছে। সেজন্য এখন তাকে ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির কথায় ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি ৪৫ হাজার টাকা একটি অ্যাকাউন্টে জমা করে দেন। কিন্তু পরে তাকে আবারও ফোন করে বলা হয়, উপহারের বাক্সে কিছু ডলার রয়েছে; সেজন্য তাকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে; তা না হলে কাস্টমস আইন ও মানি ল্ন্ডারিং আইনে মামলা হবে।
দ্বিতীয় দফা ফোন পেয়ে ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়। এরপর তিনি সিআইডির সাইবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডি প্রথমে এই চক্রে সরাসরি যুক্ত দুজন বাংলাদেশি এবং একজন নাইজেরীয়কে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে বাকিদের পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধানমণ্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার সবাইকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।