ন্যাশনাল ব্যাংকের টাকা চুরি: গ্রেপ্তার ৪ জন রিমান্ডে

ন্যাশনাল ব্যাংকের টাকা চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে গ্রেপ্তার চারজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2020, 02:08 PM
Updated : 2 June 2020, 04:18 PM

সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়, জব্দ করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন হান্নান ওরফে রবিন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫০), মো. মোস্তাফা (৫২), মো. বাবুল মিয়া (৫৫) ও পারভীন (৩১)।

মঙ্গলবার তাদের ঢাকার আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিন হেফাজতের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম মৃধা।

আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন জামিন চেয়ে বলেন, যদি জামিন না দিয়ে তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়, তবে তা যেন হয় একদিনের জন্য। কেননা এর আগে গ্রেপ্তার আসামিদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে আদালত পুলিশের কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন এর বিরোধিতা করে বলেন, মূলত হান্নানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কাউকে যদি জামিন দেওয়া হয় তবে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমান গ্রেপ্তার প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১০ মে রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যায়। দিনেদুপুরে ঘটে যাওয়া ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ওই মামলায় পুলিশ এর আগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা হলেন- ওই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, গাড়িচালক ও দুজন নিরাপত্তাকর্মী।

একদিনের রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছিল। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৮০ লাখ টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে খোয়া যায়নি, টাকা তোলার কোনো একপর্যায়ে ওই বস্তাটি গাড়ি থেকে চুরি করা হয়।

পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা সংগ্রহ করে মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় বাবুবাজারে পৌঁছানোর পরই গাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা টাকার একটি বস্তা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরতে পারেন।

পরে গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ সড়কের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নতুন চারজনকে গ্রেপ্তার করে বলে তদন্তকারীরা জানান।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসউদ জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া ৮০ লাখ টাকার মধ্যে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।