মাস্ককাণ্ড তদন্তে আরও সময়

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক দেওয়ার ঘটনা তদন্তে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় পেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2020, 11:31 AM
Updated : 24 April 2020, 11:31 AM

বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক দেওয়া গত ২১ এপ্রিল গঠিত এই তদন্ত কমিটি। শুক্রবার এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল।

এদিন কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব (ক্রয় ও সংগ্রহ) হাসান মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আজকে (শুক্রবার) এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছি না। আমরা অধিকতর প্রতিবেদনের জন্য আরও সময় চেয়েছি।”

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধিকতর তদন্তের জন্য আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় পেয়েছে তদন্ত কমিটি।”

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক দেওয়ার ঘটনায় তোপের মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার।

ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো মাস্কের মোড়কে এন-৯৫ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক। ছবি- রয়টার্স

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে নির্দেশনা দেন। ওই দিনই মাস্কের ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে আছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. সাঈদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল-১ শাখার উপপরিচালক মো. আমিনুর রহমান এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব (ক্রয় ও সংগ্রহ) হাসান মাহমুদ।

কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “কমিটি বর্ণিত অভিযোগের আলোকে চাহিদা, স্পেসিফিকেশন, সংগৃহীত পরিমাণ, সরবরাহকৃত নিম্নমানের মাস্কের পরিমাণ, সিএমএসডিতে নিম্নমানের মজুদ মাস্ক (যদি থাকে) ইত্যাদি বিষয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন পূর্বক সুস্পষ্ট মতামত দেবেন। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করবেন।”

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতেও ভুল মাস্ক সরবরাহে নাম আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানফ্যাকচারিংয়ের।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সরবরাহ করা ২০ হাজার ৬০০টি ‘ভুল’ মাস্ক ফেরত নিয়ে এ দায় থেকে মুক্তি চাইছে কোম্পানিটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পিপিই নীতিমালা অনুযায়ী, রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু মার্চের শেষ ভাগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক পাঠানো হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক।

ফলে সেগুলো আসল মাস্ক কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা; বিষয়টি সে সময় সংবাদ মাধ্যমেও আসে।