‘নিখোঁজ’ হওয়ার দেড় বছর পর ফিরেছেন বরখাস্ত র‌্যাব কর্মকর্তা

মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে দেড় বছর আগে ‘নিখোঁজ’ হওয়া বরখাস্ত র‌্যাব কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 11:23 AM
Updated : 22 Feb 2020, 11:23 AM

তার স্ত্রী শামীমা আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার মধ্যরাতে বাসায় ফিরে আসেন তার স্বামী।

“উনার চেহারা ছিল বিধ্বস্ত। নিচ থেকে দারোয়ান এসে খবর দেওয়ার পর আমরা তাকে বাসায় নিয়ে আসি। যে পোশাক পরে উনি ১৮ মাস আগে বের হয়েছিলেন, গায়ে সেই পোশাকই ছিল।”

হাসিনুর এতদিন কোথায় কীভাবে ছিলেন, কীভাবে আবার বাড়ি ফিরে এলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি শামীমা।

“উনি বেশ অসুস্থ। এখন কিছু বলছেন না। আমরা আগামীকাল তাকে ডাক্তার দেখাব।”

২০১৮ সালের ৮ অগাস্ট রাত সোয়া ১০টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে আনুমানিক ১৪-১৫ জন লোক এসে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে হাসিনুরকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে আসছিল তার পরিবার। এ নিয়ে ওই বছর ডিসেম্বরে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিল।

পল্লবী থানার এস আই মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে দুই দফা হাসিনুরের স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে।

“তিনি আমাদের বলেছেন, রাত ১২টার দিকে হাসিনুর বাসায় আসেন। তবে তার সাথে কথা বলার বা দেখা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি।”

লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে থাকাকালে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন হাসিনুর রহমান ডিউক। তার আগে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সে সময় তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিশ্চিত করেছিল র্যাব। পরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চাকুরিচ্যুত হয়ে কয়েক বছরের সাজা খাটেন হাসিনুর।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সময় হাসিনুরের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিল।

২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিনুরের স্ত্রী শামীমা আখতার স্বামীর খোঁজে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তিনি সেদিন দাবি করেন, তার স্বামী ‘কোনো কিছুর সঙ্গে’ জড়িত নন,  তাকে ‘ভুল বোঝা হচ্ছে’।

“২৮ বছর নিষ্ঠার সাথে আমার স্বামী সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দেশের প্রতি অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পদক, বীর প্রতীক ও বিপিএম খেতাব পেয়েছেন। কারাভোগের পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।”