দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে বৃহস্পতিবার গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলমের নামে আলাদা নোটিস পাঠানো হয়।
কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, আগামী ৩ মার্চ সকাল ১০টায় দুজনকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে নোটিসে।
অভিযোগের বিষয়ে নোটিসে বলা হয়, “ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
“সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের বিষয়ে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।”
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। দুদিন পর শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই অভিযানে গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করা হয়।
পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও মামলা হয় জিকে শামীমের বিরুদ্ধে।
ক্যাসিনোর কারবারসহ দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক। এ অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।