ভোটারদের ‘ঘুম ভাঙে না’ বলে ভোটের সময় পেছাল ইসি

প্রতিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চললেও আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সংসদের দুটি আসনের উপনির্বাচনে এক ঘণ্টা পরে ভোট শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2020, 02:58 PM
Updated : 16 Feb 2020, 03:03 PM

সকাল ৮টায় ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনসহ কয়েকটি নির্বাচনে ভোটার খরা নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে রোববার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই কারণ দেখান তিনি।

ভোট ৮টা থেকে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেন- এই প্রশ্নে জ্যেষ্ঠ সচিব আলমগীর বলেন, “৮টায় ঘুম থেকে উঠে না। সকালে ভোট হলে ভোটার উপস্থিতি কম দেখি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে।

“এজন্য কমিশন এটা ৮টা থেকে ৯টা করেছে।”

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটারের জন্য হা পিত্যেষ (ফাইল ছবি)

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে সারা দিনেও ৩০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাননি। এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ২৩ শতাংশ।

বিএনপি দাবি করছে, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর অনাস্থা থেকে মানুষ এখন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছে। বিএনপির অভিযোগ নাকচ করলেও ভোটের হার নিয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও।

ঢাকা সিটি নির্বাচনের পর ভোটের হার কম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইসি সচিব আলমগীর বলেছিলেন, এর কারণ জানতে গবেষণা করতে হবে।

রোববার একই ধরনের প্রশ্নে তিনি বলেন, “ভোটাররা কাদের দোষে ভোটকেন্দ্রে যান নাই, যারা যান নাই এটা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। তারাই ভালো বলতে পারবেন।”

ভোটারদের উদ্দেশে আলমগীর বলেন, “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোট করার জন্য যা যা দরকার কমিশন তা করবে। সকল ভোটারকে বলব নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে আপনার যে অধিকার রয়েছে, তা প্রয়োগ করবেন।”

ঢাকা সিটির মতো চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হবে। ঢাকায় ভোটে গোপন কক্ষে বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টকে গোপন কক্ষে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করতে দেখা গেছে।

এটা প্রতিরোধে এবার কী ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, “এই ধরনের কাজ করার সুযোগ নাই।

“নির্বাচন একক কারও দায়িত্ব নয়। এটার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সেসব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবার সমন্বিত দায়িত্ব। সবাই যদি যার যার দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নাই।”

এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দায়টা কার উপর পড়বে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি সেখানে প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকে, তাহলে সেখানে কোনো সুযোগ থাকবে না।  যারা নির্বাচন করবেন তারা যেন তাদের পোলিং এজেন্ট দেন।”

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সব দলের  অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে সচিব বলেন, “আমরা সবসময়ই শতভাগ আশাবাদী। আশা করতে তো কোনো সমস্যা নাই। আমরা তো আমাদের দিক থেকে কোনো কিছু কম রাখি না।”

পুরনো খবর