বার্ষিক ক্রীড়ায় ‘নিম্নমানের খাবার-টিশার্ট, ঢাবির জিয়া হলে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিম্নমানের টি-শার্ট ও খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2020, 08:42 AM
Updated : 13 Feb 2020, 08:42 AM

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় হল সংসদ ও ছাত্রলীগের নেতারাসহ শিক্ষার্থীরা হল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এসময় হল কার্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার টি-শার্টে আগুন দিয়ে স্লোগান দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে সকালে নাস্তা না দেওয়ায় প্রথমে ক্ষোভ জন্মায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। পরে টি-শার্টের মানও অনেক খারাপ হওয়ায় এবং দুপুরের খাবারে গরুর মাংস রাখার কথা বলে মুরগীর মাংস প্রস্তুত করায় সবাই ক্রীড়া উৎসব বর্জন করেন।

বিক্ষোভে থাকা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাফওয়ান চৌধুরী বলেন, “তারা বিগত কয়েক বছর আমাদেরকে এমন খাবার দিয়ে আসছে। এবার বলেছিল উন্নতমানের খাবার এবং টি-শার্ট দেবে, মাঠে গিয়ে দেখি ফলাফল উল্টো।”

হল সংসদের ভিপি শরীফুল ইসলাম শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেলা বর্জন করে হলে এসে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। কিন্তু প্রভোস্ট স্যার কয়েকজনকে নিয়ে খেলা অব্যাহত রেখেছেন মাঠে।

“নিম্নমানের টি-শার্ট ও খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীরা খুবই ক্ষুব্ধ। সবাই প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে হল সংসদও তাদের সাথে আছে।”

প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হল সংসদের জিএস হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, “এই প্রভোস্ট শিক্ষার্থীবান্ধব নন।

আমরা হলের আবাসিক সমস্যা নিয়ে তার কাছে অনেকবার গিয়েছি। বলেছি প্রয়োজনে আমরা ডাবল সিটে থাকব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলের দক্ষিণ ব্লকে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ চারটি কক্ষে আবাসিক শিক্ষকরা থাকেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সবকিছু মিলিয়ে এবং আজকের ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।”

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ জিয়া রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও কিছু করার নেই। অন্যান্য হলের টি-শার্টের সাথে তুলনা করে দেখুন নিম্নমানের কিনা? হলের আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে সাব-কমিটি করে আমরা সমস্ত আয়োজন করেছি। আমি সব সময়ই উদার। যদি খাবার বা টি-শার্ট নিম্নমানের হয়, তারা আমাকে বিষয়টি জানাতে পারত।”

খেলা বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের খেলার প্রায় পাঁচটি আইটেম শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন ৫-৬ জন শিক্ষার্থী বাদে সবাই চলে গেছে। খাবার তো এখনও আসেনি, তারপরও তারা চলে গেছে। এই কালচারটা তো ভালো না।”