অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের দেহরক্ষীদের মধ্যে চারজনকে জামিন না দিয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
Published : 03 Feb 2020, 04:22 PM
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
জামিন আবেদনকারী চার দেহরক্ষী হলেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও সামসাদ হোসেন।
তাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা একটা সম্মিলিত ক্রাইম, অর্থ পাচারের মামলাটি তদন্তাধীন। এদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এখন জামিন হলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এই যুক্তি দেওয়ার পর আদালত জামিন না দিয়ে জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে।”
গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর না করলে তারা হাই কোর্টে এসে জামিন আবেদন করেন।
যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের সাথে আটক তার সাতজন দেহরক্ষীকে শনিবার গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই অভিযানে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়।
এছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।