দূতাবাসগুলো ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ভুলটি করলেও তাদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে অনুমতি দেবে না বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক জরুরি সভা শেষে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রতিক্রিয়া জানান।
১০টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস থেকে নিয়োগ করা ৭৪ জনকে শনিবারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা/কূটনৈতিক মিশনের বিদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও স্থানীয়দের স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে গণ্য করা হবে। তার জন্য দেশি ও বিদেশিদের জন্য আলাদা নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
কিন্তু ঢাকা সিটির ভোটের ক্ষেত্রে এবার দেশি কর্মীদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করেছে দূতাবাসগুলো। নির্বাচন কমিশন সেভাবেই তাদের জন্য পরিচয়পত্র ইস্যু করেছে। বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার।
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেছেন, এধরনের নিয়োগে কোনো আইনি বাধা নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে কমিশনের আইন বা বিধি লঙ্ঘিত হয়নি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও এমনটি করা হয়েছিল।
দেশিদের দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র অকার্যকর করা যাবে কিনা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, “সেটা ইলেকশন কমিশন বলতে পারবে। ‘মিশনগুলো সুড টেইক রেসপনসিবিলিটি’। তারা যেহেতু আইন জানে।
“‘দে শুড নট এলাও দেম টু ভিজিট এনি পোল সেন্টার’ (বাংলাদেশি ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের’ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া তাদের উচিত হবে না)। তারা আমাদের আইন ভঙ্গ করতে পারেন না।”