গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলাম (৪৭) ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, “আমরা জানতে পারছি সে বিএনপির পার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিত।”
গত রোববার দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হন। সে সময় গুলির শব্দও শোনা যায়।
ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা হয়। সেই রাতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়।
এরপর বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
তিনি বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে তারা আরিফুলকে শনাক্ত করেন।
“তার মুখমণ্ডল, জামাকাপড়, জুতা ও হেলমেট দেখে এবং গুলির ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ধারণ করা স্থিরচিত্রের সঙ্গে তার হেলমেটবিহীন ছবি মিলিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল সেদিন গুলি ছোড়ার কথা স্বীকারও করেছে।”
ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোসা এবং আরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলের ক্যালিবার এবং ৫০ রাউন্ড গুলি একই ধরনের বলে তথ্য দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ কিনা জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, “বিষয়টি এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি।তবে বৈধ অস্ত্রও এভাবে প্রদর্শন করা যায় না এবং গুলি করা যায় না।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ধরতে আলাদা কোনো অভিযান হচ্ছে না। তবে নির্বাচন হোক বা না হোক, সন্ত্রাসী হলে পুলিশ সব সময় ধরবে।”