প্রবাসী বন্যা আসেননি, পেছাল অভিজিৎ হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ

লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেননি তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাফিদা আহমেদ বন্যা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 02:15 PM
Updated : 19 Jan 2020, 02:17 PM

এদিকে ইজতেমার কারণে রোববার আসামিদের আদালতে হাজির না করায় অপর একজন সাক্ষী উপস্থিত হলেও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।

এই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ আরেকজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রোববার দিন ছিল। তবে বন্যা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেননি। তার মগবাজারের বাসায় পাঠানো সমন ফেরত এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি মগবাজারে থাকেন না, যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।

রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সাক্ষ্য প্রদানের বিষয়ে অবহিত করতে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই আদালতের একজন কর্মচারী জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাক্ষ্য দিতে শাহবাগ থানার একজন পুলিশ সদস্য আদালতে এসেছিলেন। তবে টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমা চলায় এদিন আসামিদের হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। সে কারণে ওই সাক্ষীরও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

গত বছর ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা প্রয়াত অধ্যাপক অজয় রায়ের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে আসার পর জঙ্গি হামলার শিকার হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। হামলাকারীদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন অভিজিৎ। বন্যার হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে।

এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর গত ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত।

এ মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান।

আসামিদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ পলাতক।