দুদিন আগের ওই ঘটনায় কী কী দলিলপত্র খোয়া গেছে, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) কাজী শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে ওই ভবনের তিনজন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”
বুধবার রাতে কোনো এক সময় ওই কমপ্লেক্সের ভেতরে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় এবং বাড্ডা ও উত্তরার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঢুকে আলমারি ভেঙে তছনছ করা হয়।
চোরেরা মূল্যবান দলিলপত্রের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেছে বলে জেলা রেজিস্ট্রার সাবেকুন নাহার সেদিন জানিয়েছিলেন।
এসব অফিসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন ও সংরক্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে ঢুকে চুরির ঘটনা জানতে পারেন কর্মচারীরা। বাড্ডার সাব রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন।
সাবেকুন নাহার বলেন, “দুটি রেকর্ড রুম থেকে কী কী দলিল বা কাগজপত্র নিয়ে গেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী কী জিনিস খোয়া গেছে তার একটি তালিকা তৈরি করার কাজ চলছে। সেজন্য শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনও অফিস খোলা রাখা হচ্ছে।”
রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ১৭৯৪ সাল থেকে বিভিন্ন এলাকার জমির দলিল সংরক্ষিত আছে। আগেও বিভিন্ন সময়ে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মহাফেজখানা থেকে বালাম বই ও দলিল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দফা চুরির পর ভবনের বিভিন্ন অংশে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসায় কর্তৃপক্ষ। এবার সেই ক্যামেরা ও হার্ডডিস্কও খোয়া গেছে।
জেলা রেজিস্ট্রার সাবেকুন নাহার বলেন, “পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত। সেজন্যই তারা সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ চুরি করেছে।”
পুরো রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার জন্য ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী আছেন। তারা তিনজন করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।
কী কী দলিল বা কাগজপত্র চুরি গেছে তা শনাক্ত করা গেলেই চুরির রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন জেলা রেজিস্ট্রার।
পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, “পাশের একটি সিসি ক্যামেরায় দুজনকে দেখা গেছে, তবে তাদের চেহারা এখনো বোঝা যায়নি। তারা চোর না অন্য কেউ সে বিষয়টিও নিশ্চিত না।”