এরা হলেন- ওই বাড়ির দারোয়ান হাসান (৫৭) ও গাড়িচালক হাফিজুল ইসলাম (৩০)।
দুদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সুকান্ত সাহা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তারা ওই বাসায় চাপাতি, ব্যাগের কথা স্বীকার করেছে। তারা আগের গাড়িচালক নাজমুলের নামও বলেছে। এর বেশি তথ্য আমি বলতে পারব না।”
পরে দুই আসামি কারাগারে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
গত ৫ জানুয়ারি রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা সারওয়ার আলীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ওই বাড়িতে ঢুকে। তৃতীয় তলায় গিয়ে তার মেয়ে সায়মা আলীর বাসার দরজায় তারা ধাক্কা দেয়।
দরজা খুললে মেয়ে ও জামাতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির চতুর্থ তলায় গিয়ে সারওয়ার আলী ও তার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গিয়ে একটি মোবাইল ফোন ও একটি ব্যাগে থাকা সাতটি চাপাতি উদ্ধার করে। ওই সময় দুজনকে আটক করা হয়।
পরদিন সারওয়ার আলী নিজে বাদী হয়ে ওই দুজনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। গত ৭ জানুয়ারি এ দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
ছায়ানটের সহসভাপতি সারওয়ার আলী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেডের চেয়ারম্যান। সারওয়ার আলীর স্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মাখদুমা নার্গিস।
হামলাকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনও স্পষ্ট করে না জানালেনও এই ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন সারওয়ার আলীসহ অনেকেই।