বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রূপপুর প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান ও মো. আমিনুল ইসলাম এবং মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী আসিফ হোসেন ও সাজিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদত হোসেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটিও করা হয়।
সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচয় পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তিনটি মামলায় ১৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপ-পরিচালক মো. শাজাহান মিরাজ ও উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন গোলাম সারোয়ার মনিসহ কয়েকজন আইনজীবী। মনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ এন্ড সন্সের মালিক আসিফ হোসেন জাবেদের পক্ষে মূলত শুনানি করেন।
“দুই বছর পর এখন বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। আমি যে প্রকল্পে কাজ করেছি সেটি নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি, মামলাও হয়নি। পরের প্রকল্প নিয়ে মামলা হয়েছে। আমাকে দিয়ে যদি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়, তবে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারত।”
অপরদিকে দুদকের পক্ষে মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আর্জি জানান।
“গ্রেপ্তারকৃতরা অপরাধ করেছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এসব প্রকল্প হয়। এসব প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। তাই তাদের জামিন আবেদন নাকচ করা হোক,” বলা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।