সম্প্রতি তাকে জড়িয়ে সাবেক মন্ত্রী ও পরিবহন নেতা শাজাহান খানের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্রনায়ক বলেন, সদস্যদের চাঁদায় চলে তার সংগঠন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরুর প্রথম ১২ বছর নিজের টাকায় সংগঠন চালিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “শুরুতে কারও কাছ থেকেই কোনো অর্থ নিইনি। পরে সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া শুরু হয়।”
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে নিসচা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এনজিও হিসেবে নিবন্ধিত হয় বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
এনজিও হিসেবে নিবন্ধনের কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “তা না হলে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হত। এ কারণে আমরা এনজিও হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছি। আমাদের আয়ের উৎস নিজস্ব অর্থায়ন। সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া চাঁদা আমাদের আয়ের মূল উৎস। আমার সংগঠনে বিদেশ থেকে কোনো অনুদান আসে না।”
গত ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে পরিবহন শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘জ্ঞানপাপী’ আখ্যায়িত করেন।
“ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশ্যে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেন সেই হিসেব আমি জনসম্মুখে তুলে ধরব।”
পরে ইলিয়াস কাঞ্চন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাজাহান খানকে এই অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলেন।
কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শাজাহান খানের জবাব না পাওয়ায় আবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগের স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ হাজির করার আহ্বান জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
“আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগেও তাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উত্তর দেননি। এবার আমি তাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। আশা করি তিনি তা দেবেন। নইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে,” বলেন তিনি।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কখনই প্রতিপক্ষ মনে করেন না জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “কিন্তু শাজাহান খান আমার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলছেন। এ কারণে আমি ও আমার পরিবারের সদস্য এবং সংগঠনের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।”
নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে শাজাহান খান এসব প্রশ্নের অবতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শাজাহান খান যেদিন এসব কথা বলেন সেদিন ভারতে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।