মঙ্গলবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার ভিক্টরি মিউজিয়াম সফরে গেলে সেই জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এল্ডার ইয়ানি বকেভ এই আশ্বাস দেন।
এতে বলা হয়, ১৯৭১ এর গণহত্যার স্মৃতি ও দলিল সংরক্ষণের বিষয়ে গৃহীত প্রকল্প ‘কনস্ট্রাক্ট অব আর্কাইভ অ্যান্ড মিউজিয়াম-১৯৭১: জেনোসাইড-টর্চার’ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১৬ নভেম্বর রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফরে যায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
রাশিয়া সফরকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল রাশিয়ার ভিক্টরি মিউজিয়ামের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এল্ডার ইয়ানি বকেভ, আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক সার্গেই ওরলভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে একাত্তরের গণহত্যা জাদুঘর ও ভিক্টরি মিউজিয়ামের মধ্যে পার্টনারশিপ, দ্বিপাক্ষিক প্রদর্শনী বিনিময়, কারিগরি সহায়তা বিষয়ে আলোচনা হয়।
কে এম খালিদের বরাত দিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিক্টরি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭১ এর গণহত্যা বিষয়ক জাদুঘর স্থাপনে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পরে সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মস্কোতে ক্রেমলিনের জাদুঘরগুলো এবং রাশিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতি জাদুঘর ভিক্টরি মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন।
এ সময় প্রতিনিধি দল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বর্বরতা এবং রাশিয়ার জনগণের সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতীক্ষার উপর সংরক্ষিত বিভিন্ন স্মৃতি সামগ্রী, তথ্যচিত্র, প্রামাণ্য দলিল সংক্রান্ত নান্দনিক উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন।
পাশাপাশি জাদুঘরের বিভিন্ন কারিগরি বিষয়েও সম্যক ধারণা নেন তারা।
রাশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোল্লা সালেহীন সিরাজ প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন।