সংসদীয়কমিটির সুপারিশে মন্ত্রণালয় এ ব্যবস্থা চালু করতে চাচ্ছে।
বৃহস্পতিবারসংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানোহয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
বৈঠকেমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটির বিগত কয়েকটি বৈঠকের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতিতুলে ধরা হয়।
বৈঠকেরকার্যপত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের নদীগুলো ভবিষ্যতে যেন বেদখল না হয়, এ ব্যাপারেজনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটির তৃতীয় বৈঠকে নদী দখলের তথ্যদাতাকে পুরস্কৃতকরার সুপারিশ করা হয়।
বৃহস্পতিবারমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়- নদী দখলকারীদের তথ্যদাতা বা সংবাদদাতাকে পুরস্কারদেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কমিটিরসভাপতি রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম সাংবাদিকদের বলেন, “দখলদারদের হাত থেকে দেশের নদীগুলোরক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। দেখা যায় কোনো নদীপুনরুদ্ধার করার কিছুদিন পর আবার সেগুলো বেদখল হয়ে যায়। তাই নদী দখলের খবর কেউ দিলেযদি তাদের পুরস্কৃত করা হয় তাহলে তারা উৎসাহী হবে।“
বৈঠকেরকার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে নদীর তলদেশে থাকা পলিথিনও আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ছয়টি রিভার ক্লিনিং ভেসেল কেনার সম্ভাব্যতা সমীক্ষারকাজ চলছে।
রফিকুলইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, মজাহারুল হক প্রধান, রণজিৎ কুমাররায়, মাহফুজুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এসএম শাহজাদাঅংশ নেন।