বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালতসংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা মাঝহারুল ইসলাম।
গত ৮ অক্টোবর তাকে প্রথম দফায় তাবাখখারুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে ১৩ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের বেশিরভাগই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, তার বিবরণ উঠে এসেছে এসব ছাত্রলীগ নেতার জবানবন্দিতে।
এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন এখনও পলাতক। তারা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মাহমুদুল জিসান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বী তানিম এবং যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ।
এজাহারভুক্ত আসামিদের বাইরে ঘটনার সঙ্গে জড়িতে সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।