মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ২১ অগাস্ট ব্রুনেইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অভিযোগের বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে।
“দায়িত্বশীল ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিশ্বের নানা দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও সেখানে অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বিভিন্ন পদে নিয়োগ পান, যাদের কর্তৃত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে।
ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তা দায়িত্বে নেই। ফলে দূতাবাসের মধ্যে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর তা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জানানোর কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার উইংয়ের কর্মীদের বিরুদ্ধে দূতাবাসের মধ্যেই প্রবাসী কর্মীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত ২১ অগাস্ট নির্যাতনের একটি ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যাতে দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রশিদের সামনে একজনকে কিল-ঘুষি এমনকি লাথি মারতে দেখা যায়।
এই ধরনের আরও ঘটনা ওই দূতাবাসের শ্রম বিভাগের কর্মীরা ঘটান বলে অভিযোগ রয়েছে।