রোববার একই অভিযানে ধানমণ্ডিতে মীম টাওয়ার নামে আরেকটি ভবনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।
ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী এইডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে পরিচালিত অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি ও শুক্রবাদ এলাকায় এদিন অভিযান চালায় ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিপিডিকে জরিমানার বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ওই ভবনের বেইজমেন্টে এইডিস মশার প্রচুর লার্ভা পেয়েছেন তারা।
“এজন্য তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে এসেছি। এ সময় তাদের একজন পরিচালক সেখানে ছিলেন। তিনি বলেছেন, ঈদের ছুটিতে শ্রমিকরা না থাকায় এটা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।”
ডিএসসিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে তারা। বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যরাও ১ লাখ ১১ হাজার বাসা বাড়িতে গেছে।
এদিকে জরিমানার বিষয়ে সিপিডি তাদের ফেইসবুক পাতায় এক ব্যাখ্যায় বলছে, যে নির্মাণাধীন ভবনে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, তা গত তিন বছর ধরে তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নেই।
“উল্লিখিত ভবনটি নির্মাণের জন্য নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তদারকিতে রয়েছে। সিপিডির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময়কালে জমাকৃত সব ধরনের পানি নিয়মিত অপসারণের দায়িত্ব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু সাম্প্রতিক ঈদের ছুটির কারণে নিয়মিত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি অপসারণের দায়িত্ব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পালন করেনি।”
“সিপিডি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সিপিডি নির্মাণাধীন ভবনে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আরও সজাগ থাকবে,” বলেছে সংস্থাটি।