ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার এই সিটি করপোরেশন এলাকার ৭৮টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে আটটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সেসব ভবন মালিককে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩ এর আওতায় ২৫টি নির্মাণাধীন বাড়ি পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ কারণে তিনটি বাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর ১৯টি নির্মাণাধীন বাড়ি পরিদর্শন করে দুটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৪ এর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাতটি নির্মাণাধীন বাড়িতে পরিদর্শন করে একটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া অঞ্চল-৫ এর ২০টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে দুটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ কারণে দুটি বাড়িকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে বনানী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়ায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বনানীর ১২ নম্বর সড়কের ভেঞ্চুরা প্রোপার্টিজ, ১৭ নম্বর সড়কের আবুল খায়ের গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবন, ৬ নম্বর সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাড়ি এবং ১১ নম্বর সড়কে ডোম-ইনো গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন অংশ স্যাঁতসেঁতে ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরীক্ষায় ওই সব জায়গায় এডিস মশার লার্ভা উপস্থিতি ধরা পড়ে। এ কারণে ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী ডম-ইনোকে এক লাখ টাকা এবং অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নির্মাণাধীন ভবনগুলো ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ছবিসহ অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোম-ইনো প্রোপার্টিজের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান পুলক বিশ্বাস শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বনানীর ১১ নম্বর সড়কে তাদের একটি প্রকল্প আছে। ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গেলেও তাদের কোনো জরিমানা করা হয়নি।
ভেঞ্চুরা প্রোপার্টিজের পরিচালক (নিরাপত্তা) ফরহাদ হোসেনও একই কথা বলেছেন।
“সেখানে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা অভিযানে এসেছেন। সতর্ক করলেও কোনো আর্থিক জরিমানা করেননি।”
বিষয়টি নিয়ে আবুল খায়ের গ্রুপের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।