বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, “ভোটগ্রহণের সময় সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত। তবে ২টার মধ্যে যারা হলে প্রবেশ করবে, তারা অবশ্যই ভোট দিতে পারবে।”
২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন।
ডাকসু ও হল সংসদে মোট ৭৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রত্যেক ভোটারকে ৩৮ জনকে বাছাই করতে হবে। চূড়ান্ত তালিকায় এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৫ জন।
মাত্র ছয় ঘন্টায় এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভোট গ্রহণ শেষ করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব সংগঠন।
ভোটের সময় না বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনড় অবস্থানের মধ্যে সবার ভোট গ্রহণ করার বার্তাই দিলেন ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে ৪৩ হাজারের বেশি ভোটারের জন্য মোট কতটি ভোটিং বুথ রাখা হচ্ছে, সে বিষয়ক তথ্য ভোটের চার দিন আগেও দিতে পারেননি তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজ বলেন, “হলগুলো তাদের প্রয়োজন অনুসারে ভোটিং বুথ তৈরি করছে। টোটাল ফিগার তাদের কাছ থেকে জানতে হবে।”
এদিকে কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩ হাজার ৭২৪ জন ভোটারের বিপরীতে ৪৫টি বুথ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি বুথে প্রতি ঘণ্টায় ৮ জন করে ভোট দেবে, এমন হিসাব করে বুথ তৈরি করা হচ্ছে।”
ভোটগ্রহণ ওএমআরে
প্রার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) ফর্মে।
মাস্টার দ্যা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ওএমআর ফর্মে ভোট নিচ্ছি। ডাকসু এবং হল সংসদের জন্য দুটি ব্যালটে প্রত্যেককে ভোট দিতে হবে।”
তিনি জানান, প্রতিটি পদে আলাদাভাবে ব্যালট নম্বর ও প্রার্থীর নাম সেখানে থাকবে। বৃত্ত ভরাট করে প্রার্থী বাছাই করতে হবে।
ডাকসুতে ২২৯ জন প্রার্থী হলেও একটি ওএমআর ফর্মেই সেটা অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব বলে জানান অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, “আর হলগুলোর প্রার্থীর সংখ্যা অনুসারে আলাদা আলাদা ব্যালট হবে। ওএমআর ফর্মে ভোট হলে গণনার কাজও সহজে করা সম্ভব হবে।”