রাষ্ট্রপতির ভাষণে সাফল্য আছে, ব্যর্থতা নেই: জাপা এমপি

সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণকে ‘উট পাখির ভাষণের’ সঙ্গে তুলনা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, রাষ্ট্র প্রধানের ভাষণে ব্যর্থতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2019, 06:39 PM
Updated : 12 Feb 2019, 06:39 PM

মঙ্গলবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণে অনেক উন্নয়ন ও ইতিবাচক কথা থাকলেও ব্যর্থতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।”

বিরোধী দলের এই সদস্য বলেন, “দুর্নীতি আশানুরূপভাবে কমেনি, ব্যাংক কমিশন করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি, প্রতিনিয়ত রাজধানীর মানুষ যানজটে ভুগছে, এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণে কোনো নির্দেশনা নেই।”

গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম দিন সংসদে সংবিধানের বিদানে অনুযায়ী ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির এই ভাষণ মন্ত্রিসভা ঠিক করে দেয়। 

সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও সমালোচনা করেন শামীম হায়দার।

তিনি বলেন, “দেশের গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধবান্ধব। তারা অবশ্যই সমালোচনা করবে। সংবিধানে চিন্তার অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রয়োজন। আবার গণমাধ্যমের নিজেদেরও আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।”

তিনি বলেন, “উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্নমত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বেশ কিছু আইন হওয়ার পর সেভাবে জনগণকে কথা বলতে দেখা যায়নি। মনে হয় তারা মনে করছে, কথা বলেও লাভ হবে না। এটা সহনীয় পরিবেশ নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক মতামতও আসছে না।”

 শামীম হায়দার বলেন, “এবার সরকারি দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এসেছে, অনেকটা বিরোধী দল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য বড় সংকট তৈরি করতে পারে।”

ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় সরকারি দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “বয়স্ক ও  বিধবা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে, ১০ টাকায় চাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।”

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সদস্য আব্দুস শহীদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ও বিকল্প ধারার আব্দুল মান্নান আলোচনায় অংশ নেন।