শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএর অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “অভিযানে সব সময় যে সাফল্য আসে তা না, অভিযানে কিছু উন্নতি হচ্ছে না এমনও নয়। আমাদের সার্বিকভাবে মানসিকতা পরিবর্তন দরকার। এটা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। কেউ আইন মানে না। কেউ নিয়ম মানে না। রাস্তা পারাপারের নিয়ম কেউ মানতে চায় না।
“আমাদের জনগণও মাঝেমাঝে বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো বেপরোয়া চলাচল করে এবং অ্যাকসিডেন্ট ঘটায়। অ্যাকসিডেন্ট শুধু চালকদের কারণে হয় না। যাত্রীদের জন্য, পথচারীদের জন্যও অ্যাকসিডেন্ট হয়। এজন্য অ্যাওয়ার্নেস সৃষ্টি করতে হবে। নইলে আমরা রাস্তার বিশৃঙ্খলা দূর করতে পারব না। এ ব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মাঝখানে নির্বাচন থাকায় বিআরটিএর অভিযান স্থগিত ছিল, যে কারণে অনিয়মটা বেড়ে গেছে। তবে এতে আবার গতি আসবে।
“মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা, এতগুলো গাড়ি জব্দ এবং তিনজনকে জেল দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান নিয়মিত চলবে। অভিযান আরো জোরদার করতে বলা হয়েছে। বিআরটিএর সক্ষমতাও বেড়েছে।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কলঙ্কিত নির্বাচন, সেখানে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন বক্তব্যের পাল্টায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
“এবারই প্রথম উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলো সরকার গঠনের আগেই অভিনন্দন জানিয়েছেন এ নির্বাচনের জন্য। কাজেই এ ধরনের দাবি অবান্তর, কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিরোধীদল তাদের ভাষায় কথা বলবে সেটা ভিন্ন কথা। এ নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে কোনো বিতর্ক নেই। প্রশ্ন করার মতো কোনো বিষয় এখনও আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে আমরা পাইনি। কারণ সব গণতান্ত্রিক দেশ থেকেই সরকারকে এবং আমাদের লিডার শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।”
“তাদের অভিযোগ ধোপে টেকে না। এটার কোনো বাস্তবতা নেই। এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। দেশে বিদেশে এর কোনো স্বীকৃতি নেই। জনগণ খুব খুশি, আপনারা তাদের ওপিনিয়ন নিতে পারেন। তারা তো এ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে, তাদের কোনো প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের, তাদের প্রশ্ন থাকবেই। তাদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্যই গরম গরম কথা বলতে হবে।”
নির্বাচন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
“কোনো প্রয়োজনীয়তা এই মুহূর্তে নেই। নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি, আমি বলব মামাবাড়ির আবদার।”