ভিকারুননিসার ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ জানুয়ারি

শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর মৃত্যুতে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আগামী ৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ রেখেছে আদালত। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2018, 10:53 AM
Updated : 5 Dec 2018, 10:54 AM

ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর করা এজাহার গ্রহণ করে এ তারিখ রাখেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরা এবং শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছে।

দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় করা এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। এ ধারায় সর্বনিম্ন শাস্তি দশ বছর কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে অর্থদণ্ড। তা ছাড়া আসামির বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন করাদণ্ডও দেওয়া যাবে।

গত সোমবার শান্তিনগরে নিজের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বেইলি রোডের নামি প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী আগের দিন রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিলেন। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেননি অরিত্রী।

এরপর সোমবার অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

অরিত্রীর স্বজনরা বলছেন, বাবা-মার ‘অপমান সইতে না পেরে’ ঘরে ফিরে আত্মহত্যা করেন এই কিশোরী।

তবে অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস শিক্ষার্থী অরিত্রীর অভিভাবকদের অপমান করার কথা অস্বীকার করেছেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যার খবরে গত দুই দিন ধরে স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

বিক্ষোভের মুখে ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্তের পাশাপাশি তাদের এমপিও বাতিল এবং তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্কুলটির সবগুলো শাখায় ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি তুলে সেসব না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।