জোড়া খুন: এমপিপুত্র রনির আত্মপক্ষ সমর্থন

জোড়া খুনের মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 02:58 PM
Updated : 26 Nov 2018, 02:58 PM

সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন আসামি রনি। 

বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে রনি জানান, তার পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী নেই।

এরপর বিচারক আগামী ১৫ জানুয়ারি মামলায় যুক্তিতর্কের দিন রাখেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি মো.মাকসুদ।

রনির মা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।

২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে গাড়ি থেকে ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে আবদুল হাকিম নামের এক রিকশাচালক এবং ইয়াকুব আলী নামের এক অটোরিকশাচালক আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছর ৩১ মে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে পিনু খানের বাসা থেকে রনিকে আটক করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

মামলা হওয়ার তিন মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস।

‘খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও’ আসামি জানতেন যে তার গুলিতে কেউ হতাহত হতে পারে- এই যুক্তিতে হত্যার অভিযোগ এনে এ মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেন তিনি।

নিহতদের শরীরে পাওয়া গুলির ব্যালাস্টিক রিপোর্ট, রনির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবেদনসহ মোট ১৫টি আলামত অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৭ জনকে সাক্ষী করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর জোড়া খুনের এ মামলায় রনির বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্বিতীয় মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার। বিচার চলার মধ্যেই দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়।

২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আল মামুন রায়ের জন্য গত বছরের ৮ মে তারিখ ঠিক করে দেন। কিন্তু এর মধ্যেই আসামিপক্ষের এক আবেদনে মামলাটি ফের বদলি করা হয় দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।

নতুন আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ঈমাম ‘অধিকতর’ যুক্তিতর্ক শুনানির প্রয়োজন বোধ করায় রায় পিছিয়ে যায়। দুইপক্ষ আবার তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরে।গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায়ের জন্য ৪ অক্টোবর দিন রাখেন।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে তলবের আবেদন করায় রায় আবার পিছিয়ে যায়। ফের যুক্ততর্ক শুনানিতে যায় মামলাটি।