মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের কাছে মঙ্গলবার পাঠানো ওই আবেদনে তারা অসুস্থতর কারণ দেখিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র যুক্ত করেছেন বলে কমিশনের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
একজন আইনজীবীর মাধ্যমে ওই আবেদন দুদকে পাঠানো হয় জানিয়ে প্রনব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এ মামলায় এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সেই নোটিসে ১৮ সেপ্টেম্বর তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
গত বছরের ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা এ মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান, তার স্ত্রী, সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
সিটিসেলের নামে এ বি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান এর চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খানও একজন পরিচালক। মোরশেদ খান এ বি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর সিটিসেল ২০১৬ সালে দেনার দায়ে বন্ধ হয়ে যায়।