২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য সাফের ‘চ্যালেঞ্জ’ মেয়র খোকনের

পশু কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী থেকে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2018, 10:20 AM
Updated : 19 August 2018, 10:20 AM

রোববার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের জন্য এটি একটি ‘চ্যালেঞ্জ’।

"আমরা গত তিন বছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছি। আপনাদের সহায়তায় এবারও আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।"           

এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পশু জবাইয়ের জন্য ৬০২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র খোকন।

তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অনুরোধ, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করুন। তাহলে বর্জ্য অপসারণ করা সহজ হবে।”

বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন আগামী ২২ অগাস্ট। এই ধর্মীয় উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈদের নামাজ পড়ে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।

প্রতিবছর কোরবানির সময় রাজধানীর অলিতে গলিতে যাত্রতত্র পশু জবাই করায় রক্ত ও পশুবর্জ্য ছড়িয়ে থাকে পুরো শহরময়। সেই বর্জ্য পরিষ্কার করাও সিটি করপোরেশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়া করার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে এলেও সেখানে যাওয়ার আগ্রহ তেমন দেখা যায় না।

অবশ্য সরকার নির্দিষ্ট জায়গায় পশু জবাইয়ের বিষয়টিকে বাধ্যবাধকতার মধ্যে না এনে নগরবাসীর সুবিবেচনার ওপরেই ছেড়ে দিয়েছে।

সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে মোট ২২ হাজার টন পশুর বর্জ্য জমেছিল। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯০ শতাংশ বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল করপোরেশনের পক্ষ থেকে।

 

মেয়র জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএসসিসির ৫ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবার মাঠে থাকবেন। গতবারের মত এবারও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় দুই লাখ ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে এসব ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হবে। কেউ না পেলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে বা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করবেন।”

ঈদের দিন দুপুর ২টায় মেয়র পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকে শুরু হবে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ। বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি পানি ছিটিয়ে রক্ত ধুয়ে দেওয়া হবে।

বৃষ্টির পানি জমে থাকে এমন জায়গায় পশু জবাই না করার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, “পানি জমে থাকা জায়গায় কোরবানি করলে পানিতে রক্ত এবং ময়লা আবর্জনা জমে পরিবেশ নষ্ট করে; দেখতেও খুব খারাপ লাগে।”   

অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহ উদ্দিন মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।