আইন বিভাগের ছাত্র তরিকুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার দিন ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ৩ জুলাই আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেদিন কোনো রিমান্ডের আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
পরদিন ৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবদন করেন।
১০ জুলাই ওই আবেদনের শুনানির দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালতের সায় নিয়ে পরীক্ষায় অংশও নেন তিনি।
এরপর মঙ্গলবার ওই রিমান্ড শুনানি হলে তরিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম।
একই বিচারক এদিন গণজাগরণের নেতা লাকী আকতারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা এ পি এম সুহেলের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ আন্দোলনের মধ্যে গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই রাতে ঢাকা উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৩০ জুন ও ৩ জুলাই কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তরিকুলের পাশাপাশি গ্রেপ্তার ফারুক হাসান ও জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যারা ৩০ জুনের হামলায় জখম হয়েছিলেন বলে ৩ জুলাই আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে ডিবির পরিদর্শক বাহাউদ্দিন উল্লেখ করেছিলেন।
রিমান্ডের শুনানিতে তরিকুলের পক্ষে আইনজীবী নূর উদ্দীন ও জায়েদুর রহমান জাহিদ দাবি করেন, মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা বহিরাগতরা ঘটিয়েছে, তরিকুলের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোপূর্বে বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।