দুদকের ফাঁদে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষসহ গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হকের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে।
Published : 13 May 2018, 05:27 PM
রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে জামিনের আবেদনটি নাকচ করে দেন।
নাজমুল হকের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান জামিন শুনানি করেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে জামিনের বিরোধিতা করেছি।”
গত ১২ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁ থেকে নাজমুলকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তারের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল।
রিমান্ড শেষে ২৩ এপ্রিল আদালতে হাজির করা হয়েছিল নাজমুলকে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
নাজমুলের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামে যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য নাজমুল হক ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টি দুদককে জানালে ঘুষ দেওয়ার ফাঁদ পেতে নাজমুলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
ধরা পড়ার পর নজমুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই নিজের কার্যালয়ে বসে ‘ঘুষ নেওয়ার সময়’ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন।
ফখরুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত বছরের ২০ অগাস্ট প্রধান প্রকৌশলীর পদে চলতি দায়িত্বে আসেন নাজমুল হক।