চার দিনের সফরে ঢাকায় আসা ইউরোপের দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান সোমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণা দেন।
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেন এবং এই সমস্যা সমাধানে তার দেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের কথা বলেন।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর বিষয়টিতে নজর দিতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই সমস্যার মূল মিয়ানমারে। তাই মিয়ানমারকেই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।”
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন অবিলম্বে বাস্তবায়নের উপরও গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সুইজারল্যান্ডের অবস্থানের জন্য বেরসেকে ধন্যবাদও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে দারিদ্র্য বিমোচন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের উপরও জোর দেন তিনি।
শেখ হাসিনা এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার উপর জোর দেন।
পরে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা আমরা লক্ষ্য করেছি।”
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, বলেন তিনি।