মঙ্গলবার জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবসের শোভাযাত্রা উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট প্রতিপাদ্যে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে দিয়ে শুরু দিবসের কার্যক্রম।
শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে নিয়ে অনেকেই ‘ঠাট্টা-তামাশা’ করেছিল জানিয়ে পলক বলেন, “এই ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে নিয়ে অনেকেই ঠাট্টা তামশা করেছেন। অনেকে বলেছেন, যে বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নেই, যে বাংলাদেশ আট লাখের কম মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, সেই বাংলাদেশকে কিভাবে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন?
“শেখ হাসিনা নিজের দর্শনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহরে দিকে ইন্টারন্টে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। ডিজিটাল দেশের জন্য সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “নয় বছর আগে আট লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, এখন আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, এভাবে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চাই।”
পলক বলেন, “বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ থ্রিজির আওতায় চলে এসেছে। ব্রডব্র্যান্ড কানেক্টিভিটি, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালে মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক হাই স্পিড কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসতে পারব।”
পরে শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচলক (প্রশাসন) ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এখানেই বিতরণ করা হবে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার ২০১৭’।
বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট।
জেলা পর্যায়েও দিবসটি পালনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে অনলাইন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।