তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক এস এম মনিরুজ্জামান মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলার ১১ আসামির সবাইকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে প্রতিবদনে।
“তবে এর মধ্যে প্রথম দিকের তিনজন আসামিকে স্বল্প মাত্রার অবহেলার দায়ে ছোট মাত্রার সাজা চেয়ে অআমলযোগ্য প্রসিকিউশনের আবেদন করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় নয়জন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্তে গিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কয়েক দফায়।
সন্ধ্যায় প্রতিবেদনটি জমা পড়ায় কোনো বিচারকের কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এসআই মনিরুজ্জামান।
আগামী ১১ ডিসেম্বর এই মামলার প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের দিন রয়েছে। ওই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামত করে সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান।
ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়, যাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল বলে বলা হয়।
এরপর ওই বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলীও।
এরপর ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করে ওই মামলা দায়ের করা হয়।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (গ) ধারায় করা ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভাগীয় তদন্তে এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে “পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করতঃ অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার প্রমাণ পাওয়া গেছে”।
পরে তদন্তে গিয়ে নাজমুল হক ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।