লাখো কণ্ঠে ‘জয় বাংলায়’ জাফর ইকবালের ‘স্বপ্নপূরণ’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বললেন লেখক-অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2017, 02:49 PM
Updated : 18 Nov 2017, 02:49 PM

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপনে শনিবারের এই নাগরিক সমাবেশে  লেখক, অধ্যাপক, কবিসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে ছিলেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

বক্তব্যের শুরুতেই নিজের পরিচয় তুলে ধরে জাফর ইকবাল বলেন, “আমি যখন পড়াই তখন আমার সামনে ৫০ জন বা খুব বেশি হলে একশ জন থাকে। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ, আমি অভিভূত।”

যে জায়গায় দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তার ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন, সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ‘শিহরণ অনুভব’ করছেন বলে জানান একাত্তরের শহীদের এই সন্তান।

বক্তব্যের শেষদিকে জাফর ইকবাল বলেন, “আমার একটা ইচ্ছা ছিল। ক্লাসে আমার সামনে ছাত্ররা থাকে, সেখানে আর স্লোগান দিতে পারি না। আজ আমার স্বপ্নটা পূরণ করতে চাই। আমি স্লোগান দিচ্ছি, আপনারা গলা মেলাবেন।”

এরপর জাফর ইকবাল দুহাত ছুড়ে বলেন ‘জয় বাংলা’, সবাই তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন ‘জয় বাংলা’। তিনি আবারও বলে ওঠেন ‘জয় বাংলা’, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত লাখো জনতা তার সঙ্গে বলেন, ‘জয় বাংলা’। 

এরপর ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে জাফর ইকবাল তার বক্তব্য শেষ করেন। 

এর আগে বক্তব্যে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।”

৭ মার্চের ভাষণকে ‘বুকের মধ্যে’ ধারণ করার আহ্বান জানান জাফর ইকবাল।

তিনি বলেন, “এটি শুধু ভাষণ নয়, এটি কাব্য, মহাকাব্য। এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো নিজেকে সম্মানিত করেছে।”

৭ মার্চের ভাষণকে দুলর্ভ সম্পদ অভিহিত করে শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, “এই ভাষণকে আমাদের আনাকে কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বক্তব্য দেন।