রংপুরে ভোটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দুদিন আগে মাঠে নামানোর চিন্তা

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2017, 05:55 AM
Updated : 18 Nov 2017, 05:55 AM

রংপুরে দলীয় ভিত্তিক প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসার, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনে আসছে রোববার হতে যাওয়া আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছে ইসি সচিবালয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এ বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে ইসি।

ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়, এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে।

সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ভোটেও একই নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল।

এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন।

সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৩৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি। ভোটকেন্দ্র ১৯৩টি।

পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। র‍্যাবের ৩৩টি টিম, বিজিবির ১৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হবে।

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চারদিন মাঠে থাকবে।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‍্যাব-পুলিশের টিম ও আরও তিন প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ছয়জন নির্বাহী হাকিম মাঠে রয়েছেন আচরণবিধি তদারিকর জন্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রচারণা শুরু হলেই প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ৩৩ জন নির্বাহী হাকিম মাঠে থাকবে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবে নির্বাহী হাকিম।

এ সময় ১১ জন বিচারিক হাকিমও নিয়োগ করবে ইসি।

২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না।

নির্বাচনে জিতে রংপুর সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।

এবার দলীয় প্রতীকে রংপুরে প্রধান দলগুলোও অংশ নিচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রংপুরের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে অনুষ্ঠানিক প্রচার। আর ভোট হবে ২১ ডিসেম্বর।