মেসার্স আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বেলারুশের অনারারি কনস্যুলার অনিরুদ্ধ গত ২৮ অগাস্ট গুলশানে ইউনিয়ন ব্যাংকের অফিস থেকে বেরোনোর পর কয়েকজন তাকে গাড়িতে তুলে নেয় বলে স্বজনরা জানান।
অনিরুদ্ধ ফিরে এসেছেন বলে শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনিরুদ্ধের স্ত্রী শ্বাশতী রায় শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খবরটি ঠিক নয়। একটি লোক ফিরে আসলে কোথায় আসবে? নিশ্চয় পরিবারের কাছে? তিনি তো আমাদের কাছে আসেননি।
“তাকে তুলে নেওয়ার পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পূজার মধ্যে একবার ফোনে কথা হয়েছে। এরপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ নেই।”
অনিরুদ্ধের সন্ধান পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কাছেও নতুন কোনো তথ্য নেই।
গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অনিরুদ্ধের ফিরে আসার বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
“তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা প্রথম প্রথম যোগাযোগ রাখলেও এখন রাখছেন না।”
স্বামী ‘অপহৃত’ হওয়ার পর নিজেই ব্যবসা দেখছেন তার স্ত্রী শ্বাশতী রায়। বিকালে কারখানা থেকে ফেরার সময় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্বামী এই অবস্থায় পুরো পরিবার বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার দুই সন্তান বাসায় প্রায় বন্দীর মতো অবস্থায় আছে।”
তিনি বলেন, “অনিরুদ্ধ বসে থাকার লোক না। ফিরে আসলে তিনি অফিস করবেন, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
“লোকে বলছে ফিরে এসেছেন, সংবাদমাধ্যমে জানতে পারছি। কিন্তু কই?”
স্বামী একদিন সুস্থ শরীরেই ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মুবাশ্বার হাসান সিজারেরও কোনো সন্ধান মেলেনি।