এনআইডি থেকে দেড় বছরে আয় ৭৬ কোটি টাকা

দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার থেকে গত দেড় বছরে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা আয় করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 07:10 AM
Updated : 27 April 2017, 07:29 AM

পরিচয়পত্র সংক্রান্ত নাগরিকদের সেবা থেকে ও বিভিন্ন সংস্থাকে তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করতে দিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই আয় হয় বলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “৩০ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় পরিচিতি সেবা থেকে ৭৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে এবং তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।”

চলতি বছরে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা মোট ২৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৬ বার তথ্যভাণ্ডার থেকে পরিচিতি যাচাই করেছে বলে ব্রিগেডিয়ার সাইদুল জানান।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও হারানো বা নষ্ট হওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র প্রতিস্থাপনে সেবা দেওয়ার জন্য ফি আদায় করা হচ্ছে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে। জাতীয় পরিচিতি যাচাই সেবা নিতে নির্ধারিত ফি দিয়ে সর্বশেষ ৭৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করছে।

নির্বাচন কমিশনের নতুন ভবন

২০০৭-২০০৮ সালের প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটারদের তালিকা প্রণয়নে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সর্বশেষ দেশের ১০ কোটি ১৭ লাখ নাগরিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক সাইদুল বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নাগরিকদের তথ্যে কিছু ভুল হলেও তথ্যভাণ্ডারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা শতকরা ১ শতাংশের নিচে।

১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার ৬২১টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

এনআইডি মহাপরিচালক জানান, তথ্যের সঠিকতা ও ব্যবহারযোগ্যতায় দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্য, গ্রহণযোগ্য এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন কমিশনের এই তথ্যভাণ্ডার।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভবিষ্যতে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড ‘ট্রাভেলডকুমেন্ট’সহ নানাবিধ কাজে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে বলেও জানান তিনি।