নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব গণমাধ্যমকে জানাবেন। জনগণকে জানাতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানাবে ইসির জনসংযোগ বিভাগ।
Published : 09 Mar 2017, 10:42 PM
বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে বঙ্গভবনেও।
কে এম নূরুল হুদা সিইসির দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে এই আদেশ হল। এই কমিশনে তার সঙ্গে আরও চার নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।
এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসিতে চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নিয়ে বিরোধ হয়েছিল।
এ টি এম শামসুল হুদার কমিশনে দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে।
এবার দায়িত্ব নিয়েই দৃশ্যত আগের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পদক্ষেপ নিলেন সাবেক সচিব নূরুল হুদা।
এই আদেশের বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিশনের কাজ তো একটা টিমওয়ার্ক। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি একমত হয়ে। এ নিয়ে আলাদা করে ব্রিফিংয়ের দরকার পড়বে না; সিইসি ব্রিফিং করবেন সবসময়। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে সবসময়।”
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, “ইসি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও সঠিক তথ্য নিশ্চিতে তিন ব্যবস্থায় ব্রিফিং, সংবাদ সম্মেলন, তথ্য সরবরাহ করা হবে।
>> ইসির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিইসি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের জানাবেন।
>> ইসির কার্যপ্রণালী বিধিমালা ২০১০ এর ১১ (৩) বিধি অনুযায়ী কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করবেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে সচিব ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
>> সাধারণত কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের মাধ্যমে কমিশনের নিষ্পত্তিকৃত বিষয়াদির মধ্যে যা জনগণের অবগহতির জন্যে প্রকাশ করা বাঞ্ছনীয় তা প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে কখনও এ ধরনের অফিস আদেশ না হলেও এবার কার্যপ্রণালী বিধি স্মরণে করিয়ে দিতেই এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।”
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচন কমিশনে সিইসি নূরুল হুদা ব্রিফিংয়ে কয়েক দফা কথা বলেছেন।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বক্তব্য দিলেও ইসি সচিবালয়ে গণমাধ্যমে কোনো ব্রিফিং করেননি।
তবে ইসি সচিব প্রয়োজনীয় বিষয়ে ব্রিফিং করে আসছেন।