এরপর ওই অর্থ দেশের কল্যাণে ব্যয় করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন তিনি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ নেতাসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। গত তিন বছরে তাদের ফাঁসি কার্যকর পর যুদ্ধাপরাধের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা শহীদ পরিবারকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন,“আইনের মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামী ও তার দোসরদের বিচার করা হবে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
“যুদ্ধাপরাধীরা সঠিক পথে সম্পত্তি আহরণ করেননি। তাই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইন প্রণয়ন করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগানো হবে।”
তেজগাঁওয়ে নিবন্ধন পরিদপ্তরাধীন রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের হেলপ ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনিসুল হক একথা বলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বকেয়া পাওনার দাবিতে ‘কলম বিরতিতে’ থাকা নকল নবিশদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, “আপনারা কলম বিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করুন। আপনাদের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বকেয়া পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। আগামীতে আপনাদের প্রতি মাসের পাওনা যাতে প্রতি মাসে পান সে চেষ্টা করা হবে।”
নিবন্ধন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আগেই নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, ২১ বছর পর বিচার শুরুর পর এটি শেষ হতে লেগেছে আরও ১৪ বছর।
“কারণ বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির সমাপ্তি হয়েছে।”
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে একটা মর্যাদার আসনে পৌঁছে দেওয়া। কোনো মানুষকে যেন ভিক্ষা করতে না হয়, কারও কাছে হাত পাততে না হয় সে অবস্থানে প্রতিটি মানুষকে পৌঁছে দেওয়া।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কিছু উক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি বর্তমানে বিদেশ সফরে আছেন। এখন এ বিষয়ে বক্তব্য দিলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তাই তিনি দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া জানাব।”
নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার বক্তব্য দেন।