তিনি বলেছেন, “আস্থার বিষয়টা জনগণই স্থির করবে। এটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা যতটুকু সম্ভব সুষ্ঠু, সুন্দর, ভালো, গ্রহণযোগ্য (নির্বাচন) করার চেষ্টা করছি।”
মেয়াদের শেষ ভাগে এসে সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন কাজী রকিব।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর দশম সংসদ নির্বাচন, সিটি, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে আর তিন মাস পর বিদায় নিতে যাচ্ছে বর্তমান কমিশন।
নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচন এর মধ্যে করতে হবে এই কমিশনকে।
সাবেক সচিব কাজী রকিব কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত অধিকাংশ নির্বাচনই বর্জন করেছে বিএনপি। এই কমিশনকে বরাবরই ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ বলে আসছে দলটি।
বিএনপির এই বক্তব্য আমলেই নিতে চান না সিইসি কাজী রকিব।
“জিতলে ভালো, হারলে খারাপ-এটা ব্যক্তিগত বক্তব্য,” বলেন তিনি।
এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (ফাইল ছবি)
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে যখন যেখানে যে ব্যবস্থা দরকার, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।
“পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নজরদারি বাড়ানো হবে এবং টাইম টু টাইম অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনাও দেন সিইসি।
“আমরা সব সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে থাকি, আইন সামনে রেখে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেবেন। কার প্রতি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তা দেখার প্রয়োজন নেই।”
ইসি সচিবালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে কাজী রকিবের সঙ্গী নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন আবদুল মোবারক।
তারা বিদায় নিলে নতুন কমিশনও সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি করবেন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলে আসছেন।
তবে বিএনপি এই পদ্ধতি পরিবর্তন করে সব রাজনৈতিক দলের আলোচনার ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, সরকার আবারও ‘আজ্ঞাবহ’ ইসি গঠন করতে যাচ্ছে।