নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন বলে তাদের পরিবার নিশ্চিত করার প্রেক্ষাপটে শনিবার সন্ধ্যায় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে সেনা সদরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, হলি আর্টিজান বেকারিকে কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিমুক্ত করার পর ২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা সবাই বিদেশি এবং তাদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী।
এর মধ্যেই ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হোসেন, ঢাকার একটি আর্ট গ্যালারির সাবেক প্রধান ইশরাত আখন্দ এবং ল্যাভেন্ডারের মালিকের নাতনী অবিন্তা কবীরের মৃত্যুর খবর জানায় তাদের পরিবার।
এই তিনজনই শুক্রবার সন্ধ্যায় কূটনীতিকপাড়া গুলশানে লেকের ধারের ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে অন্যদের সঙ্গে আটকা পড়েন।
খাবারের ওই দোকানে তখন বেশ কয়েকজন বিদেশি ছিলেন এবং তার মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাকি সবাই মারা যান।
শনিবার বিকালে তাদের লাশ ওই ক্যাফে থেকে ময়নাতদন্তের জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রভোস্ট মার্শালের (০১৭৬৯০১২৫২৪) সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে আইএসপিআর।
বিদেশিদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে আইএসের নামে বিবৃতির খবর এসেছে সাইট ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বাংলাদেশের তৎপরতার খবর নাকচ করে আসছে সরকার।