কুমিল্লার কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার চেয়ে করা রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী না থাকায় আরও একবার তা কার্যতালিকা থেকে বাদ গেল।
Published : 20 Apr 2016, 06:46 PM
বিচারপতি সালাম মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চে বুধবার শুনানির জন্য আবেদনটি ৭০ নম্বর ক্রমিকে ছিল জানিয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ আর এম হাসানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ উপস্থিত না থাকায় আদালত আবেদনটি তালিকা থেকে বাদ দেয়।
বিষয়টি স্বীকার করে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি উপস্থিত ছিলাম না বলে আবেদনটি তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাই কোর্ট। সোমবার একই বেঞ্চে পুনরায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।”
তনু হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারিক নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
এতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, ওই ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা ও তনুর পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
অবকাশ শুরুর আগে আবেদনটি বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের ইাই কোর্ট বেঞ্চের তালিকায় ছিল।
গত ১৮ এপ্রিল ইউনুছ আলী আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২ এপ্রিল আবেদনটি ওই বেঞ্চের তালিকায় ছিল। সেদিন আমি উপস্থিত থাকতে না পারায় আদালত তা তালিকা থেকে বাদ দেয়।”
পরে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি বিচারপতি রাজিক আল জলিলের অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি নিয়ে যায় ইউনুছ আলী আকন্দ।
১৮ এপ্রিল আদালত আবেদনটি তালিকা থেকে বাদ দেয়।
সেদিন ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এখন অবকাশ চলছে। আদালত আবেদনটি না শোনার কথা জানিয়ে কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।”
ইউনুছ আলী আকন্দ জানিয়েছিলেন, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনটি বুধবার তালিকায় ওঠে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু গত ২০ মার্চ সেনানিবাস এলাকার মধ্যে খুন হওয়ার পর সারাদেশে প্রতিবাদ শুরু হয়।
থানা পুলিশ, ডিবি হয়ে এখন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।