ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Published : 02 Mar 2016, 12:42 AM
মঙ্গলবার কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব শামসুল আলম সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। তা বিবেচনা করে আমরা ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি।”
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী চাইলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন।
তবে এর আগে মনোনয়নপত্র জমার সময় পেরিয়ে যাওয়া প্রথম ধাপের ৭৩৮ ইউপি নির্বাচনের জন্য শতাধিক ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই অভিযোগের এক দিন পর কমিশন একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিল।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তা যথাযথ নিরাপত্তা সহকারে ওই দিনই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বুঝিয়ে দেবেন।
এবার সারাদেশে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ছয় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৭৩৮ ইউপিতে ভোট হবে ২২ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৬৮৪ ইউপিতে ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, ভোট ৩১ মার্চ।
এর পরে যথাক্রমে চার ধাপে ২৩ এপ্রিল ৭১১টি, ৭ মে ৭২৮টি, ২৮ মে ৭১৪টি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোট থেকে আরও ১৫ ইউপি বাদ
ছিটমহল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ভোটার তালিকা পুনঃবিন্যাস সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের ৬৮৪টি ইউপি থেকে আরও ১৫ টির তফসিল বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন থেকে মোট ২৭টি ইউপি বাতিল করা হয়েছে।
ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, এসব ইউপিতে নির্বাচন বাতিলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ভোট বাতিল হওয়া ইউপিগুলো হল- পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি, কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ, মারেয়া, বামোনহাট, বড়শশী; কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সদর, পাথরডুবী, শিলখুড়ি; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর বুড়িমারী, পাটগ্রাম, কুচলীবাড়ি, জগতবেড়, জোংড়া, বাউরা এবং হাতিবান্ধা উপজেলার গোতামারী।